ঢাকা: আবারও রাষ্ট্রপতি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ‘বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার সমিতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত মহাসম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতির অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, রাজনীতির অবস্থা খুব ভালো নয়, সংঘাতের আশঙ্কা আছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। এজন্য আবার রাষ্ট্রপতি হতেও পারি আমি।
তার রাষ্ট্রপতি পদে বসার দিন খুব বেশি দূরে নয় বলেও উল্লেখ করেন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, যে আশা নিয়ে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স করেছিলাম তা ব্যর্থ হয়েছে। ডাক্তার ঠিকমতো আসে না। তাদেরও দোষ নেই। দোষ আমাদের সিস্টেমের। দেশে এখন নামেমাত্র হেলথ কমপ্লেক্স আছে।
তিনি রাষ্ট্রপতি থাকলে এসব সমস্যা বলা মাত্র সমাধান হয়ে যেতো বলেও উল্লেখ করেন এরশাদ।
এরশাদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তবে সুযোগ আসতেও পারে। সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়। এ দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন আসবে। এদেশের মানুষই আনবে পরিবর্তন।
সরকার কেন নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে প্রশ্ন রেখে মহাজোটের শরিক জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ক্ষমতায় এসে সংবিধান বদল করেছে। আমি ক্ষমতায় থাকাকালে এমনটা করিনি। আমি কেবল সংবিধান স্থগিত করেছি। কারণ জানি, ক্ষমতায় রাখার মালিক আল্লাহ-পাক।
সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতায় থাকা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরশাদ বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে কেন আমেরিকা নাক গলাবে? আমরা কি পড়ালেখা জানি না? আমরা কি রাজনীতি করি না? আমরা কী করে ক্ষমতায় আসবো-যাবো, এটা আমাদের ব্যাপার, অন্য কারও নয়।
দেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের রাজধানী হওয়ার কথা ছিল শান্তির শহর। কিন্তু এটা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে দূর্বল শহর। ইয়াবার ছোবলে গোটা যুব-ছাত্র সমাজ শেষ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার ভিডির সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমদ বাবলু ও সুনীল শূভরায় প্রমুখ।