৭১-এর মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার সকালে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছে। এ সংবাদটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। বিবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্স, ডন, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন বিদেশি সংবাদপত্র তাদের অনলাইন সংস্করণে খবরটি তাৎক্ষণিক প্রকাশ করেছে।
বিদেশী বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ইসলামি নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণা’ নামে সংবাদটির শিরোনাম করা হয়।
বিবিসি, ‘ডেথ পেনাল্টি ফর বাংলাদেশ ইসলামিস্ট’ এই শিরোনামে আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের সংবাদটি প্রকাশ করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি ৬৫ বছর বয়সী কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল চলতি বছরের গোড়ার দিকে তার বিরুদ্ধে আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে হত্যাসহ পাঁচটিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বিবিসি’র ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের প্রধান ইসলামি দলে নেতাকে মৃত্যদণ্ড দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।”
আল-জাজিরা ‘বাংলাদেশ ইসলামিস্ট লিডার সেন্টেন্সড টু ডেথ’ এই শিরোনামে সংবাদটি প্রচার করেছে।
তাদের ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত দেশটির সিনিয়র ইসলামি নেতার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছে।”
আলজাজিরা আরো বলছে, “জামায়াতের চতু্র্থ পদমর্যাদার নেতা আবদুল কাদের মোল্লার (৬৫) বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।”
তাছাড়া আল-জাজিরা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া যাবজ্জীবন রায়ের প্রতিবাদকে শাহবাগের গণজাগরণকে সেক্যুলারদের জমায়েত হিসেবে উল্লেখ করেছে। সংবাদ মাধ্যমটি আরো বলছে, “যুদ্ধ চলাকালে ঢাকার উপকণ্ঠে শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যার দায়ে কাদের মোল্লাকে ‘মীরপুরের কসাই’ উল্লেখ করে অন্তত ১০ হাজার সেক্যুলার জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ জানায় শাহবাগে।”
‘বাংলাদেশ কোর্ট ইমপোজ ডেথ সেন্টেন্স ওন ইসলামিক লিডার ফর ওয়্যর ক্রাইম’ এই শিরোনামে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণার সংবাদটি প্রচার করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে,“বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগে শীর্ষ ইসলামি নেতার যাবজ্জীবনের রায় বাতিল করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।”