জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া এ মামলায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়। অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানির জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
তারেক রহমান, খালেদা জিয়াসহ সব আসামির উপস্থিতিতে চার্জ শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও কর্মীরা।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। সময়ের আবেদনে বলা হয়ে- গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মামলাটি খারিজের জন্য হাইকের্টে করা মামলার রুল হাইকোর্ট খারিজ করে দেন। তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করবেন। তাই আজকের চার্জ শুনানি মুলতবি করা আবশ্যক।
এছাড়া আইনজীবীর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার হাজিরা প্রদানের জন্য আরেকটি দরখাস্ত দাখিল করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া দুই মাসের জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ছিল তার জামিনের মেয়াদের শেষ দিন।
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই আদালতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। আদালতে সাধারণ মানুয়ের চলাচলও সীমিত করা হয়। এছাড়া সন্দেহভাজনদের ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হয়। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়া আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে চারবার খালেদা পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে আসেন।
প্রথমবার আসেন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একটি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে পুরান ঢাকায় মহানগর বিশেষ দায়রা আদালতে, দ্বিতীয়বার আসেন ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যৌথবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে, তৃতীয়বার আসেন ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার চার্জশিটের গ্রহনযোগ্যতা শুনানি দিন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ও চতুর্থবার তিনি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিননামা দাখিল করতে সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হন।