মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানিয়েছেন, আপাতত সিরিয়ায় হামলা করছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে সিরিয়ার রাসায়ানিক অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এই প্রক্রিয়ায় কাজ না হলে মার্কিন সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ওবামা। সেনা অভিযানের বিষয়ে কংগ্রেস সদস্যদের ভোটাভুটি আপাতত বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার বিবিসিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ওবামার এ সিদ্ধান্তের খবরটি প্রকাশ পায়।
এছাড়া সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে রাশিয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের মধ্যে বৈঠক হবে।
এর আগে দামেস্কে রাসায়ানিক হামলায় নিহত শত শত মানুষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সীমিত সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছিল।
পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যকে পাশে না পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র একাই হামলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রক্রিয়া শুরু করে। সেইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতা শুরু করে আরো দুই পরাশক্তি চীন ও রাশিয়া।
সম্প্রতি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনেও এই হামলার বিষয়ে পরাশক্তিগুলো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। সমাধানের জন্য রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠকও হয়।
মঙ্গলবার সিরিয়ার কাছে মজুদ রাসায়ানিক অস্ত্রের উপর জাতিসংঘসহ অন্যান্য দেশের নজরদারি প্রস্তাব করে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়া এ বিষয়ে আপাত সমর্থন জানানোর পরই যুদ্ধের বরফ গলতে শুরু করে।
সূত্র : বিবিসি