আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে সম্মুখ যুদ্ধে মার্কিন বাহিনী তাদের অংশগ্রহণ কমাবে। আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময় ২০১৪’র এক বছর আগেই এই অংশগ্রহণ কমানো হবে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
ন্যাটো সম্মেলন থেকে লিওন প্যানেটা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে আফগান সেনা প্রশিক্ষন এবং অন্যান্য সহায়তা কমাবে বলে আশা করছি।
আফগানিস্তানে বর্তমানে মোট ৯৯ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে। তবে চলতি বছরের মধ্যেই ২২ হাজার সেনা সদস্যের দেশে ফিরে যাওয়ার কথা।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার পর এখন দেখার বিষয় যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে আফগান পরিস্থিতি সামাল দেয়। কারণ এই ঘোষণা দেওয়ার আগেই তারা ২০১৪ সালের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে সকল সেনাসদস্য উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
প্যানেট্টা তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ পেয়ে আফগান সেনারা আফগানিস্তানের অনেক এলাকাতেই ভালো ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমরা এখনও কাজ করে যাচ্ছি, এটা একটা বড় দিক। আমরা আমাদের সেনাসদস্যের সংখ্যা কমিয়ে দেবো। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমার পুরোপুরি চলে যাবো। কারণ আমাদেরকে সবসময়ই আমাদের প্রতিরক্ষা নিয়ে ভাবতে হয়।’
মার্কিন বাহিনী ২০০১ সালে নাইন ইলেভেনের পর থেকেই আফগানিস্তানে তালেবান এবং আল কায়েদার বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এদিকে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরুর পথে।
তবে তালেবান যোদ্ধাদের একটি গ্রুপ অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো শান্তি আলোচনা নয় বলে জানিয়েছে। এমনকি হামিদ কারজাই সরকারের সঙ্গেও কোনো আলোচনা নয় বলে তারা জানায়।
প্যানেট্টা আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে সেনারা ঘরে ফিরে আসবে। সম্পূর্ণ বাহিনী প্রত্যাহারের যে রোডম্যাপ আমরা দিয়েছিলাম তা পূরণ হবে ২০১৪ সালের শেষের দিকে। ন্যাটোর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই আমরা যা করার করবো। আমরা এক সঙ্গে এখানে এসেছিলাম এবং যাবোও এক সঙ্গে। কিন্তু লিসবনে আমরা আমাদের মিত্রদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা আমাদের রক্ষা করতে হবে।’