ঐশীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর

ঐশীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর

oshiপুলিশ দম্পতি হত্যার ঘটনায় মেয়ে ঐশী রহমানের পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে বেলা ১২ টায় তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ঐশীকে কারগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রায় আধা ঘণ্টা জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহ জামিন নাকচ করে দেন।

১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ আবেদন করেন ঐশীর আইনজীবী মাহাবুব হাসান রানা।

পরে আবেদনের শুনানির জন্য ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন ঐশীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার নির্দেশও দেন আদালত।

এর আগে ঐশীকে ৫ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে শিশু অধিকার আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন মহল। এ ঘটনায় আইন অনুসরণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে কমিশন।

গত ২৪ আগস্ট রাতে তাদের ঢাকা থেকে এ কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ঐশীর জন্মসনদ আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু আল খায়ের ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান। এ সময় তারা ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানান। পরে ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত জন্মসনদপত্র যাচাই করে ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেফতারকৃত ঐশীকে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে পাঠাতে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আর এ নোটিস পাঠানোর দুদিন পরে আদালতের পক্ষ থেকে এই আদেশ দেয়া হয়।

পরে ৩১ আগস্ট সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ঐশী ও সুমিকে আদালতের নির্দেশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে বিকালে সেখান থেকে নেয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে।

উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর মাহফুজ রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের মরদেহ রাজধানীর মিন্টো রোডের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হত্যাকান্ডের পর ঐশী নিখোঁজ ছিল। পরদিন ১৭ আগস্ট দুপুরে ঐশী পল্টন থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

বাংলাদেশ