খেলা থেকে অনেক আগেই ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ দল। গন্তব্য কোথায় তাও জানা নেই। সবই নির্ভর করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর। রানের চূড়াটা তারা কোথায় নিয়ে ঠেকাবে, তারওপরই সব নির্ভর করছে।
গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যে পথ বেছে নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ল, সে পথ হারিয়ে ফেলেছেন তার দলের খেলোয়াড়রা। কোচের নির্দেশনা ছিলো ইনিংসটাকে বড় দৈর্ঘ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য। হয়েছে ওয়ানডের মতো। স্টুয়ার্টের ভাষায়,“আমরা যেখানে যেতে চেয়েছিলাম সম্ভব সেখানে যাচ্ছি না। আমাদের মাঝারি গোছের ইনিংসটাই দায়ি। উইকেট হারিয়ে রানের পেছনে ছোটা আমাদের লক্ষ্য ছিলো না। চেয়েছিলাম আমরা ১৩০ ওভার ব্যাট করবো। আমরা ব্যর্থ। প্রতিপক্ষ খেলায় নিয়ন্ত্রণ করছে। খেলায় ফিরতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।”
শীষ্যদের ব্যর্থতায় মনযন্ত্রণায় আছেন স্টুয়ার্ট ল। তার শেখানো বুলিগুলো মাঠের ভেতরে গিয়ে ভুলে যান খেলোয়াড়রা। ল’র মতে,“খেলোয়াড়দের লম্বা সময় ব্যাটিং করতে বলার পরও তা না হলে কোচের জন্য খুবই হতাশার। কেউ একজন পুরোদিন ব্যাট করবে। সেঞ্চুরি করবে। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে এটাই তো হওয়ার কথা। কোচ হিসেবে আমার জন্য দুঃখের হলো এগুলোর কিছুই হচ্ছে না।”
বোলিং নিয়েও খুশি হতে পারছেন না জাতীয় দলের প্রধান কোচ,“তাদের লেগ স্পিনার টার্ন পেয়েছে। অথচ আমাদের ফিঙ্গার স্পিনাররা পায়নি। প্রথম ইনিংসে সাকিব অনেক ভালো বল করেছে। আজকেও কিছু টার্ন পেয়েছে। উইকেটের চরিত্রই এমন। এটাকে আমরা অজুহাত বানাতে পারি না। উইকেট নিতে হবে। শেষ বিকেলে খুবই ভালো বোলিং করেছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিলো তাদেরকে লম্বা সময় ধরে খেলতে দেওয়া।”
চট্টগ্রাম এবং ঢাকার উইকেটের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখতে পাচ্ছেন স্টুয়ার্ট ল,“সার্ফেস সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও খুবই ভালো উইকেট হয়েছে। কিন্তু খেলা জেতার জন্য আমরা পথ তৈরি করতে পারিনি।”