সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার খসড়া প্রস্তাব সিনেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে অনুমোদন পেয়েছে। বুধবার এ খবর প্রকাশ করে বিবিসি অনলাইন।
খসড়া অনুযায়ী, ওবামার প্রস্তাবে সিরিয়া অভিযানের জন্য ৬০ দিন সময় বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি স্থলপথে সেনাবাহিনী পাঠানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। ভোটের মাধ্যমে এই সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সিরিয়ার রাসায়ানিক অস্ত্র প্রয়োগকে ‘অকাট্য’ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আসাদের এলাকায় এ ঘটনা ঘটার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল তার কাজ করা।”
রিপাবলিকান স্পিকার জন বোয়েহনারও ওবামার সামরিক আগ্রাসন অনুমোদন দেন।
ওই খসড়া প্রস্তাবের একটি প্রতিলিপির বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সিরিয়ায় সীমিত হামলা চালানোর ব্যাপারে সিনেটররা অনুমোদন দিয়েছে। ওই প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
তাছাড়া ওই খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ৩০ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত অভিযান চালাবেন। কংগ্রেসের অনুমোদন পেলে সেই অভিযান সর্বোচ্চ ৬০ দিনও বাড়াতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
খসড়া বলা হয়েছে, “যুদ্ধাভিযানের জন্য সিরিয়াতে মার্কিন বাহিনীর অবতরণ মেনে নেবে না কর্তৃপক্ষ।”
এর আগে মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতারাও ওবামাকে সমর্থন করেন। বেশকিছুদিনের ধারাবাহিক চেষ্টার পর ওবামা এ সমর্থন পান। সিনেট এবং কংগ্রেস উভয় কক্ষের প্রতিনিধিরাই এই সমর্থন দেওয়ার ফলে অনেকটা বাধাই পেরিয়ে গেলেন ওবামা।
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, একমাত্র নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় হামলার অনুমোদন দিতে পারে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় মুন বলেন, “আমি বারবার বলেছি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের।”
২১ আগস্ট সিরিয়ার দামেস্কে এক রাসায়ানিক বোমায় বিপুল সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়। যুক্তরাষ্ট্র তাদের গোয়েন্দা সূত্র মোতাবেক দাবি করে, সেই হামলায় ৪২৬ শিশুসহ প্রায় ১৫শ লোক নিহত হয়েছেন। তারপর থেকেই সিরিয়ায় সাময়িক হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।