নজীরবিহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিংয়ে জনজীবন এখন চরম বিপর্যস্ত। নিরবচ্ছিন বিদ্যুতের দাবিতে ভালুকায় সোমবার সকালে স্থানীয় (পিডিবি) আবাসিক প্রকৌশলীর অফিস ঘেরাও করে রাখে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে লোডশেডিং এর নামে যখন তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার খেলায় অতিষ্ট ভালুকা বাজারের ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় ওই বাজারে অবস্থিত বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করতে যায় এবং ওই অফিস ঘেরাও করে রেখে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করতে থাকে। এ সময় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।
খবর পয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পস্থিতি শান্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ না পেয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করে।
অন্যদিকে, গত ৪ দিন ধরে একটানা মৌলভীবাজারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই এবং অসহনীয় লোডশেডিংয়ে মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন স্থানে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করছেন। সেই সঙ্গে প্রশাসন বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হচ্ছে। তারপরও কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার দুপুরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরের হাজী আব্দুল আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে মানববন্দন করেছে ভুক্তভোগি কয়েক শতাধিক লোকজন। হাতে হাতে ধরে ভুক্তভোগিরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধূরী , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম, হাজিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মালিকুর রহমান মায়ন, মছরুল আলম চৌধুরী , সাংবাদিক লিটন শরীফ, কাউন্সিলর কায়ছার পারভেজ, খিজির আহমদ, শৈলেন্দ্র দেব নাথ, আশরাফ আহমদ বাধন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বক্তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন।
পরে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আমিনুর রহমানের কাছে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য স্মারকলিপি দেন।