আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী

আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থা: আইনমন্ত্রী

sofikনির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার রূপরেখা আলোচনার ভিত্তিতে হবে। সংবিধানেই এটি বলা আছে। এছাড়া ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারকারীরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।

আজ সোমবার সকালে রাজধানী হোটেল রূপসী বাংলা হোটেলে সার্ক রিজিওনাল জুডিশিয়াল কনফারেন্স অন মানি লন্ডারিং অ্যান্ড টেরোরিজম ফিন্যান্সিং’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানেই বলা আছে, নির্বাচনের সময়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করার কথা। ৭২-এর সংবিধানেই সেটি আছে। সংবিধানের ৫৬, ৫৭ অনুচ্ছেদ যদি দেখেন তাহলে কিন্তু সেখানে এটাই বলা আছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন হলো আমাদের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী আছে। তারা স্বাধীনভাবেই কাজ করে। এ কমিশনের অধীনে ইতিপূর্বে যে কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে এটি প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে, নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠুভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে।

ওই নির্বাচনের রূপরেখা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবশ্য নির্ভর করছে আলোচনার উপর। এখন বলা ঠিক হবে না। গ্রহণযোগ্যভাবে সবাই আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটা গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি। এজন্য সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।’

মন্ত্রী বলেন, যেসব সংগঠন ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাচ্ছে, সেসব সংগঠনই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।

রাজনীতি