সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের নমুনা পেয়েছে দাতব্য সংস্থা

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের নমুনা পেয়েছে দাতব্য সংস্থা

siriaব্রাসেলস ভিত্তিক একটি দাতব্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, দামেস্কের শহরতলীতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে আক্রান্তদের শরীরে তারা নিউরোটক্সিকের নমুনা পেয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তাদেও বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মিসাইল সমৃদ্ধ চতুর্থ যুদ্ধজাহাজ ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়নি।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, পূর্ব দামেস্কে বিদ্রোহী বাহিনীর ব্যবহৃত একটি টানেলে তারা রাসায়নিক অস্ত্রের নমুনা পেয়েছে।

মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স বলছে, বুধবার সকালে চালানো ওই রাসায়নিক হামলার পর সিরিয়ায় তাদের পরিচালিত তিনটি হাসপাতালে শরীরে নিউরোটঙিকের নমুনা আছে এমন সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৫৫ জন মানুষ মারা গেছে।

তবে দাতব্য সংস্থাটি বলছে, ঐ ঘটনায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা সেটি তারা বৈজ্ঞানিকভাবে নিশ্চিত হতে পারছেন না।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ক্রিস্টোফার স্টোক বলেছেন, যে ধরনের জটিলতা নিয়ে বহু সংখ্যক মানুষ আসছেন, তাতে বোঝা যায় যে একটি বিরাট জনগোষ্ঠী এতে আক্রান্ত হয়েছেন।

আর সেইসাথে যারা তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তারাও এতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ইতোমধ্যেই একজন চিকিৎসক মারা গেছেন।

এদিকে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেছেন দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টারা।

বারাক ওবামা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ক্যামেরনের অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের তদন্ত দলকে সহযোগিতা না করার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে প্রেসিডেন্ট আসাদ কিছু গোপন করছেন।

দেশটির বিদ্রোহীরা বলছে ২১ অগাষ্ট পূর্ব দামেস্কের ঘোউটা নামে এক জায়গায় বেসামরিক সাধারণ মানুষের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে দেশটির সরকার।

অন্যদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, পূর্ব দামেস্কে বিদ্রোহী বাহিনীর ব্যবহৃত একটি টানেলে তারা রাসায়নিক অস্ত্রের নমুনা পেয়েছে।

টেলিভিশনে গ্যাস মাস্ক আর প্লাস্টিক কন্টেইনারের ছবি দেখানো হয়, যার গায়ে সৌদি আরবে নির্মিত লেখা রয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক