সারাদেশে মঙ্গলবার থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহওয়া খারাপ, তবুও মানুষ ছুটছেন শিকড়ের টানে। বৃষ্টিতে ট্রেনের ছাদ ফাঁকা থাকলেও গাদাগাদি করেই বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে অসংখ্য ঘরমুখো যাত্রীদের।
এদিকে, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই ফাকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। বাস-ট্রেন-লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভীড় যেন বাড়ছেই। নগরীর টার্মিনালে টিকিট বাণিজ্যের কারণে এক কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে যাত্রীরা ছুটছেন অন্য কাউন্টারে। প্রতিটি কাউন্টারেই যাত্রীদের বিড়ম্বনা বাড়ছে। তবে সাধারণ মেইলে টিকেট পাওয়া গেলেও অগ্রিম টিকেটের জন্য যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
ট্রেনের টিকিট যেন এখন অনেকটাই সোনার হরিণ। গতকাল সন্ধ্যায় কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা গেছে, ঘরমুখো যাত্রীরা টিকেটের জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। স্টেশনের ভেতরের ফ্লোরেও অনেকেই সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন ট্রেনের জন্য। অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করেত আসা যাত্রী হাসনাত আলী বলেন, ‘স্টেশনের বেশিরভাগ কাউন্টারের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। তিনগুন বেশি টাকা দিয়েও টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কালোবাজারীদের হাতে টাকা দিলেই মুহূর্তর মধ্যেই টিকেট চলে আসে।’
যাত্রীদের অভিযোগ ‘লাইনে না দাঁড়িয়ে কালোবাজারীদের হাত থেকে সহজেই টিকেট নেয়া যায়। শ্রীপুরের টিকেটের দাম ৩০ টাকা হলেও কালোবাজারীরা তা বিক্রি করছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।
অন্যদিকে, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানায়, এবার কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির কোন ঘটনা নেই। আর কালোবাজারি হচ্ছেও না। যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে এসব কালোবাজারিরা পুলিশ ও স্টেশন কার্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সংশ্লিষ্টরা এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী দেখা যায়নি। তীব্র গাদাগাদি করেই বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে তাদের। দুর্ভোগ আর হয়রানি যাই হোক না কেন, টিকেট নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগভাগি করা হবে- এমন প্রত্যাশা নিয়ে রাজধানী ছাড়ছেন যাত্রীরা।