চার ওভারে ৬ টি রান দিয়ে বিনিময়ে তুলে নিলেন ৬ উইকেট। ২৪ বলের মধ্যে ১৮ টি ডট বল। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো রেড স্টিলের বিরুদ্ধে সাকিবের বোলিং পারফরমেন্স ছিলো টি টোয়ান্টির ইতিহাসের সেরা বোলিং পারফরমেন্স।
বার্বাডোজ ট্রিডেন্টস এর হয়ে খেলা এই বাংলাদেশী শুধু নিজেই ছয়টি উইকেট নেননি। নিয়েছেন আরও দুটি ক্যাচ। সব মিলিয়ে রেড স্টিলের ১০ টির মধ্যে আটটি উইকেটের পতনেই রয়েছে তাঁর অবদান। বলা যায় একাই রেড স্টিলের ইনিংসকে ধসিয়ে দিয়েছেন। ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর দলটি অল আউট হয়ে যায় ১২ ওভার ৫ বলের মাথায়। মাত্র ৫২ রানে।
পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেই আঘাত হানেন রেড স্টিলের দুর্গে। প্রথম বলেই রস টেইলরকে আউট করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইতিহাসের শুরু। নিজের দ্বিতীয় ওভার উইকেট শূণ্য থাকলেও তৃতীয় ওভারের প্রথম, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে অসাধারণ স্পিনে ফেরত পাঠান রেড স্টিল অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভোসহ নিকোলাস পূরান এবং কেভিন কুপারকে। ব্যক্তিগত চতুর্থ ও ইনিংসের ১২ তম ওভারে বল করতে এসে সাকিব স্যামুয়েল বাদরি ও কেভিন ও’ব্রাইনকে আউট করলে ইতিহাসে ঢুকে পড়েন।
সাকিবের এমন বোলিং এ উচ্ছাসিত সবাই। কমেন্টেটরদের মতে, এটি সর্বকালের সেরা বোলিং পারফরমেন্সগুলোর একটি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়ে সাকিব এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ক্রিকেটে এমন সময় বেশি আসেনা। আমি শুধু সঠিক স্থানে বল করার চেষ্টা করেছি। ছয় উইকেট পেয়ে আমি আনন্দিত।’
এদিকে সাকিবের বিশ্বরেকর্ড বোলিং এর সুবাদে ৫২ রানে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোকে আটকে দিলেও ৫৩ রানের টার্গেটে পৌঁছাতে ৬ উইকেট হারাতে হয়েছে বার্বাডোজ ট্রিডেন্টসকে। রেড স্টিলের পক্ষে ফিডেল এডওয়ার্ডস এর অসাধারণ পেস বোলিং বার্বাডোজের জয় কিছুটা বিলম্বিত ও কঠিন করতে সমর্থ হয়েছে। চার ওভারে ফিডেল এডওয়ার্ডস ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট।
বোলিংয়ে এদিন বিশ্বরেকর্ড করলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ৬ বল মোকাবেলা করে ১ রান করে এডওয়ার্ডসের বলে বোল্ড হন তিনি।
ট্রিডেন্টসের ইনিংসের অষ্টম ওভারের শেষ বলে অ্যাশলি নার্স এর বাউন্ডারির মাধ্যমে বার্বাডোজ ট্রিডেন্টস এর চার উইকেটের জয় নিশ্চিত হয়।