ঈদের পর জামায়াতের ডাকা হরতালে বিশেষ নিরাপত্তায় ট্রেন চলাচল করবে। আর এজন্য যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাত বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে বিশেষ সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হরতাল ও অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নানা ধরনের নাশকতা চালানো হয়। ক্ষতির ভয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক না থাকলেও সচল থাকে ট্রেন চলাচল। তবে ইদানিং ট্রেনও বাদ পড়ছে না নাশকতা থেকে। ঈদের পর পরই হরতাল ডাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সব ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। হরতালে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বাড়বে, তাই অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামলাতেও বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে হরতালের কারণে অনেক যাত্রীই পরিবর্তন করছে ফিরতি টিকিট। আবার হরতালে আটকে পড়ার ভয়ে কেউ কেউ ভয় উপেক্ষা করেই সংগ্রহ করছে ঢাকায় ফেরার অগ্রীম টিকিট।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদে আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট দেশব্যাপী টানা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতালের ডাক দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এ রায় দেন। একজন বিচারপতি এই রায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও বাকি দুজন পক্ষে ছিলেন।জামায়াতে ইসলামী এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। আপিল বিভাগ যদি হাইকোর্টের এই রায় বহাল রাখেন, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ফলে বর্তমানে কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৮। তবে জামায়াতে ইসলামির নিবন্ধন বাতিল হলে এই সংখ্যা দাড়াবে ৩৭।গত ১২ জুন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিটের ওপর শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখে দেন।