অবশেষে কিশোরী ফেলানী হত্যা ঘটনার বিচার শুরু হচ্ছে। ভারতের কুচবিহারে বিএসএফের দ্বারা গঠিত আদালতে আগামী ১৩ আগস্ট এই বিচার কার্যক্রম শুরু হবে বলে শুক্রবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিজিবি।
মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফেলানীর বাবা, মামাসহ একটি প্রতিনিধিদল ভারতে যাবেন।
বিজিবির সদর দপ্তর জানায়, ফেলানী হত্যাকাণ্ডে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের দুজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী, একজন আইনজীবী ও বিজিবির একজন প্রতিনিধিকে ভারতে যাওয়ার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। সে অনুযায়ী বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ, কুড়িগ্রাম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন, নিহত ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মামা আবদুল হানিফ বিএসএফের আদালতে সাক্ষী দিতে যাবেন। কুচবিহারের বিশেষ আদালতে ১৯ আগস্ট তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফেলানী বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকা ফেলানীর মৃতদেহ নিয়ে সারা পৃথিবীতে হইচই পড়ে।