জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে: প্রধানমন্ত্রী

জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে: প্রধানমন্ত্রী

pirgongপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি’র সমালোচনা করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। মানুষের পরিবর্তন ঘটে। , ‘এক মাত্র আওয়ামী লীগ সরকারে এলে উন্নয়ন হয়, বাকিরা সবাই ক্ষমতায় এলে লুটপাট করে খায়।’ বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর খুন ধর্ষণ, দুর্নীতি ও লুটপাট সব বেড়ে যায়। এখন বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব নেই। বিএনপির আমলে মানুষ দু’বেলা খাবার জন্য চাল কিনতে পারেনি।

বুধবার বিকালে পীরগঞ্জ সরকারী হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কৃষককে কৃষি ঋণ দিয়েছি। তথ্যসেবা দিয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্যসেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আমার ছেলে আমাকে ডিজিটাল পদ্ধতি শিখিয়েছে। আমি সে অনুযায়ী ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করেছি।

তিনি বলেন, আমরা বিনামুল্যে বই দিয়েছি, জানুয়ারির প্রথমেই সবাই বই হাতে পাচ্ছে। আমরা এদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে সবচেয়ে অবহেলিত ছিল রংপুর। আমরা ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, বিভাগ হয়েছে, সিটি করপোরেশন হয়েছে, তিস্তা সেতু হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিট চালু হয়েছ। বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানেই লুটপাট করে টাকা কামিয়ে নেয়া। ছেলে কামিয়েছে, তার পরিবার কামিয়েছে। আরেক ছেলে ধরা পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ থেকে আমরা  মঙ্গা দূর করি। বিএনপি আসার পর আবার মঙ্গা শুরু হলো। হত্যা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, নারী ধর্ষণসহ নানা অপকর্মে তারা লিপ্ত হলো। এবার ক্ষমতায় আসার পর এখন আর মঙ্গা নেই। কথা দিয়েছিলাম রংপুরকে বিভাগ করবো। বিভাগ করে দিয়েছি। বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগকে অনুরোধ করে বলেন, মসজিদে দাঁড়িয়ে যারা ইসলামের অপপ্রচার করে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে, তাদের প্রতিরোধ করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন। এদের কাছ থেকে মানুষকে সাবধান হতে হবে।

তিনি বলেন প্রচারণা চালানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষতায় এলে মসজিদে আজান হবেনা, মানুষ মরলে জানাযা হবেনা কিন্তু এখন সব হচ্ছে। আমরা চাই বাংলাদেশ একটি সামপ্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হবে। তিনি বলেন, আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি। আবার ক্ষমতায় এলে আরো উন্নয়ন হবে। এ জন্য তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চান ও  উপস্থিত জনতার কাছ থেকে  হাত তুলে ওয়াদা আদায় করেন।।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবাহীনির একটি হেলিকাপ্টারে বেলা ১২.৩০টায় পীরগঞ্জের ফতেহপুরে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে  পৌঁছেন। তার সাথে জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা জয় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় আরেকটি হেলিকপ্টারে আসেন। পরে ফতেহপুরে জয়সদনের দ্বিতল তলায় প্রবেশ করেন তারা।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, জয়ের স্ত্রী ক্রিস্টিনা জয়, পরিবারের সদস্য এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামছুল হক টুকু, সংসদ সদস্য এবং প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা মরহুম ড. ওয়াজেদের কবরস্থান জিয়ারত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনময় করেন ।

বেলা আড়াইটার দিকে জনসভা স্থলের পাশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতু, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলো, রংপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও অফিসার্স ডরমেটরী এবং সার্কিট হাউজ ভবন, বিভাগীয় কমিশনার কমপ্লেক্স, পীরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স, মেরিন একাডেমি ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও পীরগঞ্জ পৌরসভা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধামন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজে জয়, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি এমপি, সাংসদ সদস্য টিপু মুন্সি, আব্দুল মান্নান এমপি প্রমূখ।

বাংলাদেশ রাজনীতি