১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস বন্ধের উদ্যোগ

১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনহীন ক্যাম্পাস বন্ধের উদ্যোগ

ugcমালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, সনদ বাণিজ্য, নিম্নমানের শিক্ষা ব্যবস্থাসহ নানা অভিযোগের কারনে দেশের ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনহীন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
অভিযুক্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ হলেও শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে উদ্যোগের বাস্তবায়ন হলেও শিক্ষার্থীদের সবধরনের স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে উচ্চশিক্ষা প্রদানের নামে পরিচালিত হচ্ছে ৬৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে অননুমোদিত ক্যাম্পাসে।
কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ। সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণায়লয়ের কাছে সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যখন একই নামে দুটি ট্রাস্টি বোর্ড চলে, তখন অবশ্যই একটি অবৈধ।
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. আনোয়ার ইসলাম বলেন, যারা আমাদের নাম ভাঙিয়ে সার্টিফিকেট ব্যবসা করছে তাদের দায়-দায়িত্ব আমরা কেন নেব?
অভিযুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কয়েক বার বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে ক্যাম্পাসগুলো এখনো সচল। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আবারো নড়ে চড়ে বসায় শিক্ষাজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টির যৌক্তিক সমাধানও চান তারা। তারা বলেন, যদি কোনো অব্যবস্থাপনা থাকে তবে তা আগেই বন্ধ করতে পারতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, অননুমোদিত কাম্প্যাসের বিরুদ্ধে নেয়া উদ্যোগ কার্যকর হলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সচল রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষার্থীদের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।

 

বাংলাদেশ