ঈদকে সামনে রেখে বাস টার্মিনালসহ লঞ্চ টার্মিনালেও উপচে পড়া ভিড়। আর এ ভিড় সামাল দিতে এবং নৌপথে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি লঞ্চ মালিকরা এই সেবা দেবেন।
ঈদের আগে ৬ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে স্পেশাল লঞ্চ চলবে। ঈদের পর বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় পৌঁছতে ১৩ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত স্পেশাল লঞ্চের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে বেসরকারি লঞ্চ মালিকরাও অংশ নেন।
তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হবে না।
সরকারিভাবে বিআইডব্লিউটিসি চারটি অতিরিক্ত লঞ্চ পরিচালনা করবে। এ লঞ্চগুলো প্রতিদিন তিন হাজারেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
অন্যদিকে বেসরকারি লঞ্চের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বাড়বে। ঈদযাত্রীদের জন্য প্রতিদিন ৫৫ থেকে ৬০টি অতিরিক্ত লঞ্চ পরিচালনা করবেন তারা।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার জানান, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত লঞ্চের পাশাপাশি বাড়তি জনবলও থাকবে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হয়ে যেন কোনো লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে যেতে না পারে তা মনিটরিং করা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম কাজ করবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথ পরিবহন অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, “সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়া হবে না। বৈঠকে ঈদ মৌসুমে কার্গো সার্ভিস বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে ঈদ পর্যন্ত এই সার্ভিস বন্ধ থাকবে।