ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৬ আসামির সবাই খালাস

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৬ আসামির সবাই খালাস

fasiপ্রায় ১০ বছর আগে বগুড়ার ধুনট উপজেলার বড় চাপড়া গ্রামের আবদুল বাকী ও তার দুই ছেলে (ট্রিপল মার্ডার) হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামির সকলকেই খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রবিবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইমদাদুল হক আজাদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ (ডেথ রেফারেন্স) এবং জেল আসামিপক্ষের আপিলের শুনানি শেষে এ রায় দেন হাই কোর্ট।

নিম্ন আদালত যে ১২ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন তারা হলেন- আব্দুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম, খত জামাল, ফারায়েজুল, নিপুন, গণি, বাসেত, লাল মিয়া, অফফার আলী, শফিকুল, আশরাফ আলী মালেক ও বাচ্চু।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চারজন হলেন- জাহিদুল, ওয়াজেদুল, সফের ও মহসীন। এই ১৬ জনের সকলকেই খালস দিয়েছে হাইকোর্ট।

আদালতে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ ও ব্যারিস্টার আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী।

রায়ের পর ব্যারিস্টার আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় নিহত আবদুল আজিজ মারা যাবার আগে কয়েকজন আসামির নাম উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়ে (ডায়েং ডিক্লারেশন) যায়। তাতে যেসব আসামির নাম বলা হয়েছে নিম্ন আদালত তাদের সকলকেই খালাস দিয়েছেন।’

এছাড়া ৫জন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আছে। নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে জবানবন্দি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় নিহত পরিবারের প্রতিবেশী কাউকে সাক্ষী করা হয়নি। এসব ত্রুটিসহ আরো বেশ কিছু ত্রুটি বিচার বিশ্লেষণ করে হাই কোর্ট আসামিদের খালাস দিয়েছেন।

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০০৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খুন হন বগুড়ার ধুনট উপজেলার বড়চাপড়া গ্রামের আব্দুল বাকী এবং তার দুই ছেলে ইয়াছিন ও আব্দুল আজিজ। নিহত আবদুল বাকীর ভাই আবদুল কাফী ওইদিন ভোরে বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে ধুনট থানায় মামলা করেন।

মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর  ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় বিচারর শেষে ২০০৭ সালের ৬ নভেম্বর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১২ জনকে ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়ে রায় দেন। অপর ২৪ জন আসামিকে খালাস দেয়া হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে ২০০৭ সালে জেল আপিল করেন আসামিরা।  পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) হাই কোর্টে আসে। এ আবেদনের শুনানি শেষে হাই কোর্ট আজ এই রায় দিলেন।

শীর্ষ খবর