যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার পর অভিযুক্ত জর্জ জিমারম্যানকে গত সপ্তাহে বেকসুর খালাস দেয়ার প্রতিবাদে দেশটির কয়েকশ শহরে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জর্জ জিমারম্যানের গুলিতে ওই কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রেইভন মার্টিন নিহত হয়।
এই মামলাটিকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র, বর্ণ-সম্পর্ক এবং আত্মরক্ষা আইন নিয়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিউ ইয়র্কের এক সমাবেশে নিহত কিশোরের মা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আইন পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের নানা প্রান্তের এই বিক্ষোভকারীরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। তবে এসব বিক্ষোভের সংগঠকরা বলছেন, এটি তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন প্রখ্যাত নাগরিক অধিকার কর্মী রেভারেন্ড আল শার্পটন।
শার্পটন বলেন, আত্মরক্ষার বর্তমান আইনটি আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। এমন কোনো আইন থাকতে পারে না যে আইনে আপনি কোনো মানুষকে হুমকি বলে মনে করলে তাকে হত্যা করার অধিকার রাখেন।
নানা শ্রেণী এবং পেশার মানুষ আসছেন এসব বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য। নিউ ইয়র্কের একটি সমাবেশে সমর্থন জানানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন সঙ্গীত তারকা জে-জি এবং বেয়োন্সে। আর সেই সমাবেশেই বক্তব্য রেখেছেন ট্রেইভন মার্টিনের মা সিবরিনা ফুলটন।
ট্রেইভন মার্টিনের এ মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণ-সম্পর্ক এবং আত্মরক্ষা আইন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এ সপ্তাহে এক বক্তব্যে আদালতের রায়ে মানুষের হতাশার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য এটি বিরল একটি ঘটনা।
বিক্ষোভকারীরা পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তাদের দাবি, জর্জ জিমারম্যানের বেকসুর খালাসের বিষয়ে একটি ফেডারেল নাগরিক অধিকার তদন্ত কারা হোক।
তবে বিক্ষোভকারীরা বলছে, তাদের দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা এই লড়াই ছেড়ে দেবে না।