মিসরের পদচ্যুত ইসলামি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি’র সমর্থনকারীরা মঙ্গলবার দিনের শুরুতে নীল নদ পার হওয়ার প্রধান পথগুলো অবরোধ করায় স্থানীয়রা রাগান্বিত হয় এবং এরপর মিশরীয় পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কায়রোতে সংঘর্ষ হয়।
মেনা রাষ্ট্র সংবাদ সংস্থা জানায়,সোমবার রাত ঠিক ৯ টার পর থেকে হয় এবং মঙ্গলবার শুরু’র দিক পর্যন্ত চলাকালীন এ সহিংসতায়, অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের ভয়াবহতা এবং অস্থিরতা পূর্বের চেয়ে কম এবং এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। ৩রা জুলাই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মুরসি পদচ্যুত হয় এবং কায়রোর বেশিরভাগ এলাকা বিপদমুক্ত ছিলো।
তথাপি, একটি অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ, এবং দেশের প্রধান পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম, মিশরীয় যাদুঘর পাশের রাস্তায় চলমান কিছু যুদ্ধের দৃশ্য চলার পরেও, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ আরবের স্থায়িত্ব সম্পর্কে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
“আমি যথেষ্ট বিশৃঙ্খলা সহ্য করেছি,” দূর থেকে সংঘর্ষ দেখে আশরাফ মোহাম্মদ বলেন,. “মিশর জঞ্জালে পরিনত হয়েছে.”
টিয়ার গ্যাস থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মুখে মাস্ক পড়া অল্প বয়স্ক কিছু পুরুষ, পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে এবং মুরসি’র পক্ষে এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়, সেইসাথে চেঁচিয়ে বলে “আল্লাহু আকবর!”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক হেলিকপ্টার উড়ে আসে এবং পুলিশের ভ্যান আনা হয়, কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায়, কয়েক ডজন দাঙ্গা পুলিশ সেখানে চলে আসে । আহতদের চোখ এবং মুখে গভীর জখম হয় এবং কাছাকাছি একটি মেডিকেলে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
মুরসিকে ঘিরে হতাশা প্রতিধ্বনিত হয় লক্ষ লক্ষ মিশরীয়দের মধ্যে যারা ৩০শে জুন মুরসি’র পদত্যাগের জন্য র্যালী করেছিল।
সেনাবাহিনী বলে, জনগণের ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে তাকে পদচ্যুত করা হয়েছে। মুরসি’র মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলন জানায় এটি একটি অভ্যুত্থান ছিল।
“এখানে সেনাবাহিনীর মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে, এরা আমাদের সৈন্য, আমাদের কোন অস্ত্র নেই”, বললেন আলা এল- দীন নামক একটি ৩৪ বছর বয়েসী ল্যাপটপ হাতে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।
“সেনাবাহিনী, আমাদের ভাইদের হত্যা করছে, আপনাদের কর্তব্য আমাকে রক্ষা করা এবং আপনারা আমাদের আক্রমণ করছেন। সেনাবাহিনী মিশরীয় মানুষের বিরুদ্ধে এসে দাঁড়াচ্ছে। ”
মিশর ক্রমশই সংকটে ভুগছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্থিরতার সময়ে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে গভীর অবিশ্বাস রয়েছে।