৩১ জানুয়ারি জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ ও ৩ ফেব্রুয়ারি জুম্মার নামাজে রোববারের সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার বিকেলে গণমিছিল শুরুর আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণার পরপরই তার নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা সেনা অভ্যুত্থানে বিশ্বাস করি না। আমরা জনগণে বিশ্বাস করি। আমরা কখনো ডেটলাইন দিয়ে কিছু করি না, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মতো আমরা ট্রাম্পকার্ড দেখাই না। আপনারা ট্রাম্পকার্ড দেখিয়েছিলেন। সে ট্রাম্পকার্ড হলো মউনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকার ভীত হয়ে গতকাল (রোববার) আমাদের গণমিছিল বন্ধ করতে চেয়েছে। পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। মিছিলে গুলি চালিয়ে চার জনকে হত্যা করেছে। কিন্তু যারা গুলি চালিয়ে গণআন্দোলন স্তব্ধ করতে চায় তারা কোন অবস্থাতেই টিকে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে এরশাদ সাহেব জনগণের ওপর গুলি চালিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো, পারেনি। সেই খুনিকে নিয়ে আপনারা আবার খুনের রাজনীতি করছেন। এই গণবিরোধী কাজ থেকে বিরত হোন। কারণ, এরই মধ্যে জনগণ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবেন না। বিএনপি লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে না। মানুষ হত্যার ইতিহাস বিএনপির নেই।‘
নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আর চোখের পানি না ফেলে মা-বোন-স্বামীহারা সবাই রাজপথে আসুন। আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দেই।’