কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী নারীদের নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফী আহমেদের অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক বক্তব্যের প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়েছেন।
তিনি বিরোধী দলের সদস্যদেরও মাওলানা শফি আহমেদের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ধিক্কার জানানোর জন্য আহ্বান জানান।
আজ জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে শফি আহমেদের বক্তব্যের প্রতিবাদে কৃষিমন্ত্রী এ ধিক্কার জানান।
একই বিষয়ের ওপর সংসদে আরও বক্তব্যে রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সরকারি দলের সদস্য বেবী মওদুদ, ফজিলাতুননেসা বাপ্পি, তারানা হালিম, বিরোধী দলের সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার ও আসিফা আশরাফী পাপিয়া।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, মাওলানা শফি আহমেদ ধর্মের বিশেষজ্ঞ হতে পারেন, কিন্তু কোরআনের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারেননি এবং তিনি তা আমলও করেন না। যদি করতেন তাহলে নারীদের সম্পর্কে এমন অশ্লীল মন্তব্য করতে পারতেন না। পবিত্র কোরআনেই নারীদের শিক্ষা ও কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, শফি আহমেদের কথা মানতে হলে আমাদের মহিলা সংসদ সদস্যদের সংসদে নয়, বাড়িতে থাকার কথা। তিনি দেশকে আইয়ামে জাহিলাতের যুগে ঠেলে দিতে চাইছেন। বিরোধী দলের সদস্যরা তা উপলব্ধি করতে পারছেন, কিন্তু সরকারকে ঠেকাতে তারা এখন শফি আহমেদের পক্ষ অবলম্বন করছেন। যা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়।
তিনি বলেন, ’৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রংপুরে মেয়েরা ক্ষুধার জ্বালায় ভাতের দাবিতে সরকারি দফতরে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তিতে নেমেছিল। তখন শফি আহমেদ কোথায় ছিলেন, তিনি তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেননি কেন? জিয়ার শাসনামলেই মদের লাইসেন্স, হাউজি ও নামিদামি হোটেলে প্রিন্সেসদের নাচানো হতো। তখনও শফি আহমেদ প্রতিবাদ করেননি কেন?