লিবিয়া মিশন শেষ, গর্বিত ন্যাটো

লিবিয়া মিশন শেষ, গর্বিত ন্যাটো

আনুষ্ঠানিকভাবে লিবিয়া মিশন শেষ করেছে সামরিকজোট ন্যাটো। সোমবার রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে দেশটিতে কয়েক মাসের অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন ন্যাটো প্রধান অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন। এ সময় লিবিয়া মিশনকে ন্যাটোর ৬২ বছরের ইতিহাসে সফলতম অভিযান হিসেবে উল্লেখ করে গর্ববোধ করেন রাসমুসেন।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাসমুসেন বলেন, “আপনাদের রক্ষা করতে পেরে আমরা গর্ভবোধ করছি। আপনাদের সঙ্গে আমরাও সফল।”

তিনি বলেন, “লিবিয়া এখন পুরোপুরি স্বাধীন। বেনগাজি থেকে ব্রেগা এবং নাফুসা পর্বত থেকে মিসরাতা পর্যন্ত পুরো লিবিয়া এখন মুক্ত।”

গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনায় গর্ভ করে তিনি বলেন, “আজ (সোমবার) মধ্যরাত থেকে ন্যাটোর একটি সফল ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটছে। আপনাদের নতুন অধ্যায় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ভবিষ্যতের লিবিয়া গড়তে আপনার সম্পূর্ণ স্বাধীন।”

জানুয়ারীতে গণ বিক্ষোভে তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বেন আলীর পতনের পর সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় মিসরে। প্রবল সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পতন ঘটে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের। পার্শ্ববর্তী দুই স্বৈরশাসকের পতনের পর ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ায় শুরু হওয়া গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। অতীতের মতো সরকারবিরোধীদের কঠোর হাতে দমন করতে চান ৪২ বছরের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তার অনুগত বাহিনীর হামলায় নিহত হন বেশ কিছু বেসামরিক লোক।

লিবিয়ার এসব নিরস্ত্র লোকদের রক্ষায় একটি সমাধান প্রস্তাব পাশ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। প্রস্তাবে বলা হয়, লিবিয়ার বেসামরিক লোকদের রক্ষায় নো-ফ্লাই জোন আরোপসহ যেকোনো বৈধ পদক্ষেপ নিতে পারবে ন্যাটোসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদিত এ প্রস্তাব অনুযায়ী গত ৩১ মার্চ গাদ্দাফি বাহিনীর সহিংসতা থেকে বেসারিক লোক রক্ষার অভিযানে নামে ন্যাটো। সাত মাসের অভিযানের পর নিহত হন লিবিয়া নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। গাদ্দাফিমুক্ত লিবিয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা এনটিসি। পাশাপাশি লিবিয়া মিশন শেষ করতে একমত হয় নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশ।

রাজনীতি