বিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র নিরসনে এবার রমজানে অনলাইনে সদকার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি- ডব্লিউএফপি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রোটারি ক্লাবের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে সদকার অর্থ দ্বিগুণ হয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে যুক্ত হবে বলে বুধবার ডব্লিউএফপি’র পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে। পুরো রমজান জুড়েই এ কর্মসূচি পালিত হবে।
জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি সারাবিশ্বে ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামরত সর্ববৃহৎ মানবিক প্রতিষ্ঠান। এর মোট উপকারভোগীর প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই মুসলিম দেশগুলোর।
গত বছরের মাহে রমজানে প্রথম সদকার মাধ্যমে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে এ তহবিলের অর্থ দিয়ে গত বছর সারা মধ্যপ্রাচ্যের ৪ লাখের অধিক শিশুর স্কুলে খাবারের সংস্থান করা হয়েছিল। তাই এবছর আরো বৃহৎ পরিসরে এ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে- যাতে আরববিশ্বসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোকেও একটি নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করা যায়।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের পার্টনারশিপ ও বিজনেস ম্যানেজার এলিসে বিজন বলেন, এ মাহে রমজানে লাখ লাখ মানুষ রোজা পালন করে- কিন্তু ইফতার তাদের জন্য সূদুরের স্বপ্নই থেকে যায়। আমরা প্রত্যেককে আহ্বান করছি, ব্যক্তিগতভাবে অথবা সাংগঠনিকভাবে প্রত্যেকেই যেন এ মাহে রমজানে ক্ষুধা নিবারণের এ সংগ্রামে শামিল হন। রোজাদার পরিবারগুলো যেন কিছু ইফতার করতে পারে।
রোটারী ক্লাব জুমেইরা’র প্রেসিডেন্ট আহমদ বেলসেলাহ বলেন, ইতোপূর্বেও রোটারি ক্লাব মাহে রমজানের প্রচারাভিযানে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাথে ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের এ প্রচেষ্টা আরো বিস্তৃত করবো- আমরা আরো বেশি ক্লাব, সদস্য, আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এ মানবিক কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য এ মাহে রমজান হচ্ছে- ক্ষুধা-পীড়িত, অনাহারী মানুষের শারীরিক ও মানসিকভাবে পাশে দাঁড়ানোর একটি অনন্য সুযোগ। অনলাইনে প্রাপ্ত সকল অনুদান সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করে আরো বেশিসংখ্যক মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাহায্য করে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে উৎসাহিত করা হবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে wfp.org/Ramadan,www.wfp.org/countries/Bangladesh,www.facebook.com/WFP.Bangladesh লিংকটি ব্যাবহারের অনুরোধ জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।