ভারতে চলন্ত বাসে গণধর্ষনে জড়িত কিশোরের মামলার রায় পেছাল

ভারতে চলন্ত বাসে গণধর্ষনে জড়িত কিশোরের মামলার রায় পেছাল

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কিশোরের মামলার রায় পিছিয়েছে। ভারতের একটি কিশোর আদালত মামলার রায় পিছিয়ে ২৫ জুলাই নির্ধারণ করেছেন।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় সারা ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। গণধর্ষণের শিকার ওই মেডিক্যালল ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি।

ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিল কিশোর। অভিযুক্ত ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা, আলামত নষ্ট করা, অপহরণসহ কয়েকটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে তিন বছর সংশোধনকেন্দ্রে কাটাতে হবে।

এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার সময় অভিযুক্ত কিশোরটির বয়স ১৮ বছরের চেয়ে মাত্র ছয় মাস কম ছিল। ভারতীয় আইনে ১৮ বছরের কম বয়সীদের কিশোর হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাদের অপরাধের বিচার করা হয় বিশেষ আদালতে।

ধর্ষিতার পরিবারসহ অনেকেই অভিযুক্ত কিশোরকে সাধারণ আদালতে বিচারের দাবি করেছিলেন।

অবশ্য, অভিযুক্ত কিশোরটি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার সঙ্গে ধর্ষণকাণ্ডে অংশ নেয়া অন্য চার অভিযুক্ত ব্যক্তিও তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নয়াদিল্লির দ্রুত বিচার আদালতে ওই চারজনের বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সবার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

এ ছাড়া, একই মামলার আর এক আসামিকে দিল্লির কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। তবে তার আইনজীবী ও পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র: জিনিউজ।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর