সাবেক আইএমএফ প্রধান ডমিনিক স্ট্রস কান বুধবার সিএনএন-এ প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি নারীলিপ্সু নন এবং নারীদের নিয়ে তার কোনো সমস্যাও নেই।
হোটেলে নারী পরিচারিকার সঙ্গে যৌন কেলেংকারিতে জড়িয়ে আইএমএফ প্রধানের পদ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উচ্চাশা ত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার দুবছর পর এ কথা জানালেন স্ট্রস কান।
নিউইয়র্কের এক হোটেল পরিচারিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলার পর ২০১১ সালের মে মাসে ফরাসি রাজনীতিক স্ট্রস কানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগটি প্রত্যাহার করা হয়।
আদালতের বাইরে ১৫ লাখ ডলারের বেশি অর্থের বিনিময়ে কান তার অভিযোগকারীর সঙ্গে এক গোপন সমঝোতা করেন।
ওই ঘটনার পর তার আরো বেশ কিছু যৌন কেলেংকারির ঘটনা ফাঁস হয়। তবে কোনো ক্ষেত্রেই তিনি দোষী সাব্যস্ত বা সাজা পাননি।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রথম ইংরেজি ভাষায় প্রচারিত সাক্ষাৎকারে কান বলেন,নারীদের নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে ভুললে চলবে না একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকের সঙ্গে একজন সাধারণ মানুষের মিল থাকতেই পারে।
তার নিজেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে উল্লেখ করে কান বলেন, আমার ব্যক্তিগত জীবন আছে। কাউকে আহত না করে এবং আইনি ঝামেলা সৃষ্টি না করে আমি যা খুশি করতে পারি।
অভিযোগের বিষয়টিকে ‘দুর্বল’ উল্লেখ করে কান বলেন,সেদিন হোটেল কক্ষে কী ঘটেছিল তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আইনজীবীরা একবার বলেন যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে আর একবার বলেন, তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার যথেষ্ট কারণ নেই। তখনই তো বোঝা যায় অভিযোগটি দুর্বল।
সমঝোতার বিষয়ে কান বলেন, আইনজীবীরা আমাকে বললেন মামলায় চার বছর সময় লাগবে এবং প্রচুর টাকা ব্যয় হবে। তাই এরচেয়ে কম টাকা দিয়ে আপসরফা করে ফেলাই ভালো। তাই আমি মামলাটি চুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই।
ফ্রান্সের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অবস্থানে ছিলেন ডমিনিক স্ত্রস কান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থী মনে করা হচ্ছিল তাকে। কিন্তু এই যৌন কেলেঙ্কারির পরে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন কান। সূত্র: এএফপি।