নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান আদলি মনসুরের জারি করা অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, মঙ্গলবার ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা এসাম এল-এরিয়ান অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তন ও আগামী বছরে নির্বাচনের পরিকল্পনা ‘দেশকে ফের আরেকটি তাহরির স্কয়ারের দিকে নিয়ে যাবে।
এর আগে সোমবার আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়ে এবং আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিজের ক্ষমতা সীমিত করে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান আদলি মনসুর।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, অধ্যাদেশ অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে স্থগিত হওয়া সংবিধান সংশোধন করা হবে। সংশোধিত সংবিধান অনুমোদনের জন্য চারমাসের মধ্যে (নভেম্বরের মধ্যে) গণভোট আয়োজন, ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সোমবারের সহিংসতার পর এই পদক্ষেপ নিলেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।
মিশরের সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, সোমবার সকালে রিপাবলিকান গার্ড সদরদপ্তরের কাছে সেনাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৫১ জন মুরসি সমর্থক নিহত হয়। তবে একদল সন্ত্রাসী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী পদক্ষেপ নেয় বলে দাবি করে সেনা কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহের বুধবার গণবিক্ষোভের মুখে এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট মুরসি। মুরসির ক্ষমতাচ্যুতিকে দেশটির অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সমর্থন করলেও সেনা অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্টের পতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকে মুরসির দল ব্রাদারহুড।
এক সময়ের নিষিদ্ধঘোষিত দলটি প্রেসিডেন্ট মুরসিকে স্বপদে বহাল রাখতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
বুধবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত সহিংসতায় অন্তত ৮০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম।