মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি জিএসপি সুবিধা পুনরুদ্ধারে শ্রম আইন পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করার ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এটি নীতিগত অনুমোদন দেয়া হলেও বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ও পরিমার্জন করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং শেষে পুনরায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় আসবে।
সচিব বলেন, পিওর ফুড অর্ডিনেন্স নামে ১৯৫৯ সালে একটি আইন ছিল যা রহিত করে যুগোপযোগী করে এ আইন করা হচ্ছে। একটি স্বতন্ত্র সংস্থার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’। এটি একা কাজ করবে না, এটি হবে বর্তমানে খাদ্যের মান বজায় রাখার জন্য যে সব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের সমন্বিত একটি সংস্থা। এ সংস্থাকে সহায়তা দেয়ার জন্য জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা উপদেষ্টা পরিষদ। এর সভাপতি হবেন খাদ্যমন্ত্রী।
এ পরিষদকে পরামর্শ দেয়ার জন্যও আলাদা একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সমন্বয়ে কমিটি করা হবে।
উল্লেখ্য, খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক উপকরণ পাওয়া গেলে ৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড এবং ২ বছর থেকে ৭ বছর কারাদন্ডের পাশাপাশি গুরুতর অপরাধ বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ডেরও ব্যবস্থা রয়েছে এই আইনে।