জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমরা আর মহাজোটের সঙ্গে নেই, একা আছি একাই থাকবো এবং এককভাবে নির্বাচন করব
। সময়মতো মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দেবো। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি হবে ফ্যাক্টর। আর তাই আমরা কোন দলকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সহায়তা করবো না। মানুষ আমাদেরকে ভালবাসে, ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমরা জনগণের পার্টি, জনগণের সাথে থাকব। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বলেন, আমরা মহাজোটের কোন প্রকার কার্যক্রমে নেই কিন্তু তারা কথায় কথায় বলেন, জাতীয় পার্টি মহাজোটে আছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে যারা কটূক্তি করলেন তাদের জামিনে মুক্তি দিলেন। আর আপনাকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিলেন। আপনি কি মহানবীর চেয়ে বড়? দাড়ি রাখলে মহাপাপ, দাড়ি রাখলে রাজাকার- এই হচ্ছে দেশের বর্তমান অবস্থা।
সিঙ্গাপুরে বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, উনার সঙ্গে আমার দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। আমরা রাজনীতি করি দেখা হলে ক্ষতি কি? কিন্তু আমার দেখা হয়নি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি একজন বিচারপতি চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি দেননি। প্রতি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন- জাতীয় পার্টির কথা মনে রাখেননি। এখন আপনারা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সমর্থন চান। আমরা আপনাদের সঙ্গে নেই। আমরা এককভাবে নির্বাচন করবো। আমরা মহাজোটের সঙ্গেও নেই। ১৮দলীয় জোটের সঙ্গেও নেই। মানুষ আমাদেরকে ধিক্কার দিচ্ছে, আপনাদের কু-কীর্তির জন্য। পাশাপাশি জনগণের দাবি- কেন মহাজোট ছাড়ছি না? গত নির্বাচনে জোট করলাম, আসন দেয়ার কথা ছিল ৬০টি। তাও দিলেন না। তিনি সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারাই বলুন আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ফ্যাক্টর কি না? জবাবে নেতাকর্মীরা সমস্বরে চিৎকার করে হ্যাঁ বলেন। আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ক্ষমতা ছাড়তে আপনারা ভয় পান কেন? আপনাদের বাড়িতে আগুন জ্বলবে। গুলি খেতে হবে, মরতে হবে। এ কালচার আপনারাই তৈরি করেছেন। জাতির গৌরব ড. ইউনূসকে আপনারা অসম্মান করলেন কেন। প্রতিদিন সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে এগুলো সরকার দেখছে না। সরকারের চোখে পড়ছে না শেয়ারবাজার, হলমার্ক ও ডেসটিনির দুর্নীতি। এরশাদ বলেন, নির্বাচন দিতে কেন ভয় পান। সেদিন শেষ। নির্বাচন দিতে হবে। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতির সভাপতিত্বে বনানী মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ, কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এবিএম রুুহুল আমিন হাওলাদার, এসএম ফয়সল চিশতি, কাজী ফিরোজ রশীদ, এডভোকেট সালমা ইসলাম ও মজিবর রহমান চুন্নু। গোলাম মোহাম্মদ কাদের সমাবেশে উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য রাখেননি।