বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় রোববার হবিগঞ্জ শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিলীপ কুমার বণিক এ ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এবিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে জানান, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া ১৪৪ ধারা অব্যাহত থাকবে। এসময়ের মধ্যে কেউ সভা-সমাবেশ করতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিলীপ কুমার বণিক বাংলানিউজকে জানান, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও জামায়াতে ইসলামের মিছিলের কর্মসূচিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিকে, এক প্রতিক্রিয়ায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা স্বাধীন কর্মকা-ে হস্তক্ষেপের শামিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এ কাজটি করেছে, এতে করে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গণতন্ত্র রাখার স্বার্থে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এর সরকারও গণতান্ত্রিক। তাই, এ দেশে গণতান্ত্রিক কর্মকা-ে বাধা দেওয়া ঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের জুলম-নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই এবং এ ধরনের অগণতান্ত্রিক কর্মসূচি থেকে সরকারকে ফিরে আসার আহ্বান জানাই।’
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুর ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির গণমিছিল করার কথা ছিল।