অবশেষে ট্রাইবেকারে শেখ রাসেলকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার কাপের দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা জিতলো প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্রামীণ ফোন সুপার কাপের তৃতীয় আসরের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে ম্যাচের সূচনা। পুরো ম্য্যাচটিতে মাঠে উত্তেজনা ছড়াল দু’দলই। সবকিছুই যেন উপভোগ করলো মাঠে আসা দর্শকরা। ৯০ মিনিটের লড়াই, অতিরিক্ত মিনিট, ট্রাইবেকার, লাল কার্ড প্রদর্শন।
ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডানকে সমর্থন জানাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াসে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল ম্যাচের আগে থেকেই। বিদোশ খেলোয়াড় ছাড়াও ১৬ থেকে ১৭ হাজার দর্শক সমাগম। এ যেন দেশীয় ফুটবলের জন্য অন্যরকম ভালোবাসা। খেলার প্রথমার্ধে শেখ রাসেলের জাহিদ হাসান এমিলি ২৭ মিনিটে অসাধারণ গোল করে। ১-০ গোলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মোহামেডানকে। ৫২ মিনিটে ওয়াহেদ মাঝ মাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে সরাসরি গোল পোস্টে পাঠাতে চাইলে অল্পের জন্য বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে তার শটটি। তবে ৫৪ মিনিটে আবার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগান ওয়াহেদ। গোলকিপারকে অনেকটা ফাঁকি দিয়েই দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জালে বল পাঠান তিনি। ১-১ সমতায় ফিরে মোহামেডান। এরপর (৫৪-৮৯) বাকি ৩৫ মিনিটে আর কোন গোলের দেখা মেলেনি উভয় দলেরই।
কিন্তু ৮৯ মিনিটে মোহামেডানের সোহাগের করা ফ্রি কিকটি সরাসরি গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে না আটকালে বিপদই ঘটতে পারতো শেখ রাসেলের। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে তপুর জোরালো শট বিপ্লব কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা থাকায়। অবশেষে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে উভয়দলই গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে গোল আদায়ে ব্যর্থ হয়।