মহান স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সব কিছুই আওয়ামী লীগের অর্জন

মহান স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সব কিছুই আওয়ামী লীগের অর্জন

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চার দলীয় জোট সরকার দেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তারা আবারও দেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় হবিগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ চুরি না করলে জেলে যাবে না। তাহলে কি ফখরুল সাহেব স্বীকার করলেন, ১/১১ এর সময় বিএনপি নেত্রী চুরির দায়ে জেলে গিয়েছিলেন?’’

তিনি বলেন, ‘‘বিএনপির আমলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়। বর্তমান সরকার সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যু‍ৎ উৎপাদন করেছে। দুই হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে।’’
হানিফ বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষায় আমূল পবির্তন এসেছে। বছরের শুরুতেই ২১ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’’

তিনি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছাতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপির আমলে অনেক মিলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে। বর্তমান সরকার সব মিল কারখানা পুনরায় চালু করে লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার সাড়ে চার লাখ বেকার যুবককে চাকরি ও ৪০ লাখ যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’’
হানিফ বলেন,  “বিএনপি সরকারের আমলে কৃষকরা সার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে যান। যার ফলে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। ৩৬ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। তখন বিদেশ থেকে রিলিফ এনে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী দেশের লোকদের ক্ষুধার চাহিদা মেটাতেন। যে কারণে বিদেশিরা তখন বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের ৩৬ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে।’’ তিনি বলেন, ‘‘মেজর জিয়াউর রহমান রাজাকার আলীমকে মন্ত্রী বানিয়ে দেশের পতাকা রাজাকারের হাতে তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। সেদিন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার নাম মুছে গেছে।’’
তিনি মেজর জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘‘ জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি আইন পাশ করে দেশে বিচার ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বিচার ব্যবস্থা আবার চালু করেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মহান স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সব কিছুই আওয়ামী লীগের অর্জন। এজন্য আওয়ামী লীগ পরিবারের সব সদস্য গর্বিত।’’ তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘‘বিএনপি মিথ্যাচারের দল। ১৯৯৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত তারা ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে প্রচার করে। আবার ২০০১ সালে বিএপি ক্ষমতায় এসে প্রচার করে ২৬ মার্চ রাতে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ এমপি, আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু জাহির এমপি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল ফজল।সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর