জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে রবিবার রাত্রে আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার গোপন বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, জোট নিয়ে আলোচনার জন্যই তার সঙ্গে এ বৈঠক হয়েছে। এটাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সম্পর্কে কোনো ফাটল ধরেনি বলেও জানান তিনি।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে রবিবারের বৈঠকের বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক জানান দেন হানিফ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীকে জাতীয় পার্টির সমর্থনের বিষয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এটি স্থানীয় নির্বাচন। কাউকে রাজনৈতিক সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই এখানে। কেউ যদি এটা বলে বেড়ায় সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা কোনো দলীয় ব্যাপার না। দলীয় দৃষ্টিতে এটা দেখে জাতীয় নির্বাচনে উত্তাপ না ছড়ানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
জাহাঙ্গীরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কী না- প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, জাহাঙ্গীর আমাদের ছেলে। হঠাৎ তার জন্য বিএনপি এতো মায়াকান্না কেন করছে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে নয়, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কাছে জাহাঙ্গীর গিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনের সময় তো এবাদুর রহমান চান হেলিকপ্টারে চড়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তখন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি? আওয়ামী লীগ কিছু করলেই দোষ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূসকে নিয়ে সরকারের অবস্থানের বিষয়ে হানিফ বলেন, ইউনূস নোবেল বিজয়ী একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।
ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ইউনূস সাহেবের প্রতি আহ্বান জানাব, তিনি যেন কখনো রাজনীতির বেড়াজালে না জড়ান।