আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশের সব ধরনের অর্জন এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমানে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্নটিও রচিত হচ্ছে। আগামীবার ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা অর্জনও সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারো সরকার গঠন করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
জনগণের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে মামলাতেও জিতে সমুদ্রসীমায় পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি উন্নত, মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে ২০২১ সালে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হবে।
তিনি বলেন,দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের উন্নতি এসেছে। দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হবে না। যাদের ত্যাগ নেই তারা ক্ষমতায় এসে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবে? শেখ হাসিনা বলেন,১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার স্বাধীনতা সুর্য অস্তমিত হয়েছিল। আর বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ২৩ জুন জন্ম হয় আওয়ামী লীগের।
তিনি বলেন,বাংলাদেশের মানুষ যখন কিছুটা ভালো থাকে তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা যারা দেশের ভালো কিছু মেনে নিতে পারে না। তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে,মাথা উঁচু করে আর দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ৬৫ বছর বয়সে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা সংবিধান সংশোধন করে করেছি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবো। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই জাতি কিছু পেয়েছে। মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্র বিজয় করেছি,আবার নির্বাচিত হয়ে ভারতের কাছ থেকেও সমুদ্র বিজয় করবো। এসময় তিনি দলের জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী নেতাকর্মীদের কথা অকপটে স্বীকার করেন।