যৌথ গার্মেন্ট ব্যবসার জন্য মিয়ানমারের মংডু শহরে বাংলাদেশকে জায়গা দেবে মিয়ানমার। একইসঙ্গে আসন্ন রমজানে মিয়ানমার থেকে ছোলা আমদানি করতেও দেবে দেশটি।
শনিবার বেলা ১১ টায় টেকনাফ সমুদ্রসৈকতের সেন্ট্রাল রিসোর্ট সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষ হয় বেলা দেড়টায়। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ মো. নুরুল বাসির। অপরদিকে ১৭ সদস্যের মিয়ানমার দলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের সিটওয়ে ট্রেড বোর্ডেও অতিরিক্ত পরিচালক সো উইং মং।
সকাল নয়টার দিকে নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল টেকনাফ স্থলবন্দরে আসে। সেখান থেকে সেন্ট্রাল রিসোর্টে আসার পর বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নুরুল বাসির জানান, মিয়ানমার থেকে ছোলা আমদানিতে কোনো বাধা নেই। বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা চাইলে ছোলা আমদানি করতে পারেন।
এছাড়া বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা এখন থেকে মিয়ানমারে মুঠোফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন। আগে বাংলাদেশি ব্যবসায়িরা জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা মিয়ানমারে নিয়ে যেতে পারতেন। এখন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঙ্গে নেওয়া যাবে।
মিয়ানমারের সো উইং মং জানান, বাংলাদেশিরা চাইলে যৌথ ব্যবসার জন্য তাঁর দেশ মংডু শহরে জায়গা দিতে রাজি। মিয়ানমারে বাংলাদেশি গার্মেন্টস পণ্য, গেঞ্জি ও গেঞ্জির কাপড়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অ্যালুমিনিয়ামজাত পণ্য, কলস ও সিমেন্ট আরও বেশি আমদানি করবে মিয়ানমার। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অন্যান্য দাবি মিয়ানমার সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানান সো উইং মং।