তত্ত্বাবধায়ক প্রসঙ্গে বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আর তত্ত্বাবধায়ক-তত্ত্বাবধায়ক বলবেন না। আবারো তত্ত্বাবধায়ক আসলে আপনাকে জেলে যেতে হবে, আমাকেও জেলে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচিত সরকারের অধিনেই দেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে খুশি ভোট দেবে। যারা ভোটে বিজয়ী হবে তারাই ক্ষমতায় যাবে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাকে ভোট দিতে হবে সময় হলে জনগণই তা হিসেব করবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও কর্মকান্ডের মূল্যায় করেই জনগণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের মূল্যবান করে রায় দেবে। আর এ রায়ে আবারো আওয়ামী লীগকেই রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পাবে।
তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন ও কর্মকান্ডে দেশে দারিদ্র্যের হার কমে এসেছে। বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য দিতে বাধ্য হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। এর প্রতিফলন চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ পৌর নির্বাচন। সবকটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। তাই এর সবকটিতেই বিএনপি সমর্থীত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস হয়, দুর্নীতি হয়।
মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। আর যাতে এই অবস্থা ফিরে না আসে। সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সচেতন হতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বক্তব্য রাখেন।