একই দিনে রাজধানীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
উল্লেখ্য, সোমবার রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিএনপির গণমিছিল একদিন পেছানোর পর মহানগর আওয়ামী লীগও একই দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করে। রোববার নগরীতে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। কিন্তু একই দিন আওয়ামী লীগও জনসভার ঘোষণা দিলে এদিন রাজধানীতে সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ডিএমপি।
সোমবার দুই দলের কর্মসূচি সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে ঢাকার ৮টি ক্রাইম জোনের ডিসিদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিসিরা সংশ্লিষ্ট জোনের থানার ওসিদের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর নয়াপল্টন, শান্তিনগর, কাকরাইল, মগবাজার, বাংলামোটর, পুরানা পল্টন ও জিরো পয়েন্টে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নয়া পল্টন এলাকায় সোমবার সকাল থেকেই থাকবে ১৩ সদস্যের একটি ‘স্পেশাল অ্যারেস্ট ফোর্স’।
এছাড়া থাকবে জলকামানসহ দাঙ্গাদমনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।
দুই দলের কর্মসূচির এলাকা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে। এর মধ্যে মিছিলের সামনে পেছনে এবং ভেতরে অন্তত দেড়শ ভিডিও ও স্টিল ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সক্রিয় থাকবেন।
এদিকে দুই দলের কর্মসূচি কেন্দ্র করে মহানগর পুলিশ ও ৠাব রোববার রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বাসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এছাড়া সোমবার সকাল থেকে বিএনপি কার্যালয় ও স্পর্শকাতর এলাকায় ৠাব টহল দেবে। চেন্সরী বিভাগ সতর্ক থাকবে কূটনৈতিকপাড়ায় নিরাপত্তার জন্য।
ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে কর্মসূচি পালনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি পালনকালে শর্ত ভঙ্গ করলে অথবা জনজীবনে ব্যাঘাতের সৃষ্টি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করা পুলিশের কাজ নয়। পুলিশের কাজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখা। এসব বিষয়ের ওপর হুমকি আসতে পারে এমন কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেে।’