প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ থেকে ১৩ জুন জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘কনজিউমার গুডস ফোরামে’ শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকটি পোশাক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস অন্যতম প্রধান বক্তা ছিলেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাতের অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের তার সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার একটি একান্ত আলোচনায় বসেন। বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস পোশাক প্রস্তুতকারী প্রত্যেকটি দেশের জন্য পৃথক ‘আন্তর্জাতিক ন্যূনতম মজুরি’ এবং স্বতন্ত্র সামাজিক ব্যবসা কোম্পানির পরিচালনায় শ্রমিক কল্যাণ প্রোগ্রামের আওতায় ‘হ্যাপী ওয়ার্কারস’ ট্যাগ ব্যবহার সংক্রান্ত তার প্রস্তাব দুটি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উভয় বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানির ক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। ওই বৈঠকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নে সামাজিক প্রভাব এবং একইসঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনে এর প্রভাব- এই দুটি বিষয়ের উপরই তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উল্লেখ্য, ওয়াল মার্টের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাইকেল ডিউক, ইউনিক্লোর চেয়ারম্যান ও সিইও তাদাশি ইয়ানাই, পিক অ্যান্ড পে স্টোর লিমিটেড এর চেয়ারম্যান গ্যারেথ আকেরম্যান, এওন কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মতোয়া ওকাদা ও ক্যারিফোর সিইও জর্জ প্যাসাট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।