চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে আমলার ব্যাটের উপর ভর করেই পাকিস্তানকে ৬৭ রানে হারাল দ. আফ্রিকা। আসলে এ ম্যাচের জয়ের নায়ক হাশিম আমলা।
প্রথমে টসে জিতে পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৩৪ রানে অলআউট হয় দ. আফ্রিকা। পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সামলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন আমলা-ইনগ্রাম। জুটি ভাঙে হাফিজের স্পিনে। এরপর নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় এগিয়ে যান হাশিম আমলা। ৭ রানে উমর আমিনকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রথম ওভারে সাঈদ আজমলকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে হাফিজের দারুণ এক ক্যাচ হয়ে শেষ হয় আমলার ৮১ রানের ইনিংস।
কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স-ডুমিনিরা ধরে রেখেছিলেন রানের গতি। কিন্তু মাঝ উইকেটে পিছলে পড়ে ডি ভিলিয়ার্স মিসবাহর সরাসরি থ্রোতে ডুমিনি রানআউট হওয়ার পর থমকে যায় গতি। পাকিস্তানের দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শেষ ১০ ওভারে প্রোটিয়ারা তুলতে পারে মাত্র ৫১ রান।
আফ্রিকার পক্ষে ডু প্লেসিস ২৮, এবি ডি ভিলার্স ৩১ ও জেপি ডুমিনি করেন ৩৪ রান।
ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের ৫৫ এবং ওপেনার নাসির জামশেদের ৪২ রানের ইনিংস ছাড়া আর বড় কোন স্কোর কেউই গড়তে পারেনি।
শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯৪ রান। হাতে ৪ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে হেলে পড়া ম্যাচে তখন পাকিস্তানের আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। কিন্তু ৪২তম ওভারে ৭৫ বলে ৫৫ রান করা মিসবাহও বিদায় নিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ১৬৭ রানে অলআউট করে ৬৭ রানে জিতেছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল দ. আফ্রিকা।