যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার, ইন্টারনেট নজরদারি কর্মসূচির গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়া ব্যক্তি এডওয়ার্ড স্নোডেন নিখোঁজ রয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার আগে হংকংএর একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন স্নোডেন। তথ্য ফাঁসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে ধরে শাস্তি দেয়ার চেষ্টা করবে বলেও আশঙ্কা করছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই তরুণ।
তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়।
সিআইএর সাবেক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড স্নোডেন বলেছিলেন, সমগ্র বিশ্বের মানুষদের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্যেই তিনি এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন।
২৯ বছর বয়সী সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিজের অনুরোধেই যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকা তার পরিচয় প্রকাশ করে। সেসময় তিনি হংকংয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু এখন তার অবস্থান সম্পর্কে কোন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। হোটেলে কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি হোটেল ছেড়ে গেছেন।
গত সপ্তাহে স্নোডেনের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতিদিন সারা পৃথিবীজুড়ে লাখ লাখ ফোন, ইমেইল এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যে বার্তা বিনিময় হচ্ছে তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা নজর রাখছিল।
দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির একজন সাবেক আইনি উপদেষ্টা স্টুয়ার্ট বাকের বলেছেন এডওয়ার্ড স্নোডন তার কাজের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন।
তিনি বলছিলেন, এই কাজের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটা এমন ধরনের কাজ যার জন্য তার শাস্তি পাওয়া উচিত।
এদিকে হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
যদিও হংকংয়ের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দীবিনিময় চুক্তি রয়েছে, তারপরও আইনজীবীরা বলছেন, স্নোডনকে হস্তান্তর করতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের ২০০৭ সালে চালু হওয়া প্রিজম কর্মসূচির আওতায় প্রধান প্রধান ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর সার্ভারে প্রবেশ করে ইমেইল, ওয়েব চ্যাট ও অন্যান্য যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করে।
এডওয়ার্ড স্নোডেন তার হাতে থাকা প্রিজম কর্মসূচির অতি গোপন নথিগুলো ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ানের হাতে তুলে দেন।
স্নোডন বলেন, এ নজরদারির মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষে যেকোনো ব্যক্তির ইমেইল, পাসওয়ার্ড, ফোন রেকর্ড, ক্রেডিট কার্ড তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।