আদালতে কেউ দন্ডিত হলে সংবিধান অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়। আদালত অবমাননার দায়ে জামায়াতে ইসলামী দলীয় দন্ডপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদের সংসদ সদস্য পদও থাকছে না। তবে আগামী নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হরতালবিরোধী অবস্থান নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
কামরুল বলেন, হরতাল দিয়ে এ দন্ড মওকুফ করা যাবে না। রায়ে সংক্ষুব্ধ হলে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন।
তিনি বলেন, আদালত ও বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নতুন সংস্কৃতি চালু হচ্ছে। এ সংস্কৃতি চালু হলে যারা আগামীতে ক্ষমতায় আসবেন তারা কি করবেন? দেশে কি আইন-আদালত থাকবে না?
প্রসঙ্গত, ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বক্তব্য ও দেশে গৃহযুদ্ধের হুমকি দেয়ায় রবিবার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এমপিকে তিন মাস করে কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ সপ্তাহ করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহকারী সেক্রেটারি মো. সেলিম উদ্দিনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ট্রাইব্যুনাল এবং রবিবার সারা দিন সেলিম উদ্দিনকে ট্রাইব্যুনালে থাকতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, শফিকুল ইসলাম মিলন, আব্দুল হক সবুজ উপস্থিত ছিলেন।