আনকাট সেন্সর সনদ পেল ‘ঘেটুপুত্র কমলা’

আনকাট সেন্সর সনদ পেল ‘ঘেটুপুত্র কমলা’

নন্দিত লেখক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের স্বঘোষিত শেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ছবিটি ২৫ জানুয়ারি বুধবার আনকাট সেন্সর সনদ পায় । ছবিটি একযোগে বিশ্বের কয়েকটি দেশে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ছবিটি সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শন করা হয় । সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা ছবিটি দেখে মুগ্ধ হন এবং ছবিটিতে আনকাট সেন্সর সনদ দেন ।

‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ছবিতে তারিক আনাম খান, প্রান, তমালিকা কর্মকার মুনমুন আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, জুয়েল রানা,পুতুল,কুদ্দুস বয়াতি, মামুন, আগুন,আব্দুল্লাহ রানা সহ আরো অনেকে অভিনয় করেছেন।

প্রায় দেড়শ বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার জলসুখা গ্রামের এক বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন সঙ্গীতধারা সৃষ্টি হয়েছিল। মেয়ের পোশাক পরে কিছু সুদর্শন কিশোর নাচগান করত। এদের নামই ঘেটু। গান হতো প্রচলিত সুরে, কিন্তু সেখানে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। অতি জনপ্রিয় এই সঙ্গীতধারায় নারী বেশধারী কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। বিত্তবানরা এইসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাবার জন্যে লালায়িত হতে শুরু করেন। একসময় সামাজিকভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পেয়ে যায়। হাওর অঞ্চলের বিত্তবান শৌখিন মানুষরা জলবন্দি সময়টায় কিছুদিনের জন্যে হলেও ঘেটুপুত্র নিজের কাছে রাখবেন এই বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে বিবেচিত হতে থাকে। আর তাদের স্ত্রীরা ঘেটুপুত্রদের দেখতেন সতীন হিসেবে। এমন এক ঘেটুপুত্রের গল্প নিয়েই হুমায়ুন আহমেদের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।

‘ঘেটুপত্র কমলা’ হবে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত চতুর্থ ছবি। এর আগে তিনি ইমপ্রেস থেকে ‘শ্যামল ছায়া’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ এবং ‘আমার আছে জল’ নির্মাণ করেছেন। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আগুনের পরশমণি’ ও ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবি দুটির স্বত্বও সম্প্রতি গ্রহণ করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। এর বাইরে জনপ্রিয় এই ঔপন্যাসিকের কাহিনী নিয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় আরো চারটি ছবি নির্মিত হয়েছে। এগুলো হলো ‘দূরত্ব’, ‘সাজঘর’, ‘নিরন্তর’ ও ‘দারুচিনি দ্বীপ’।

বিনোদন শীর্ষ খবর