আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দিনটা ছিল ব্যাটসম্যানদের আর দ্বিতীয় দিনটা বোলারদের। কার্ডিফে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সম্মিলিত স্কোর ছিল ৬৩৭ রানের। সেউ তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্মিলিত সংগ্রহ মাত্র ২৪২ রান। অর্ধেকেরও কম।
টস জয়ী ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ডোয়াইন ব্র্যাভোর আমন্তণে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওভার বাকি থাকতেই মাত্র ১৭০ রানে আউট হয়ে গেল পাকিস্তান। জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা কেনসিংটন ওভালের পিচে সাফল্য পেলেও এর জন্য তাদের খরচ হয়ে যায় নয়টি উইকেট। পাকিস্তানী বোলাররা স্বল্প পুঁজি নিয়ে যে লড়াইটা চালিয়েছে তা ছিল রীতিমত ঈর্ষনীয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামিয়েছিলেন পেসার কেমার রোচ আর স্পিনার সুনিল নারাইন। উভয়েরই শিকার তিনটি করে উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে সেই কাজটা করেছেন পেসার মোহাম্মদ ইরফান আর স্পিনার সাঈদ আজমল। ইরফানের তিন উইকেটের পাশাপাশি আজমলের শিকার দুটো। যাহোক ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহ গড়তে না পারায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তানের হয়ে অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পাশাপাশি ওপেনার নাসির জামশেদ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। অপর ব্যাটসম্যানরা দুই অংকের কোটায় পা দিতে না পারায় বড় সংগ্রহ জমা হয়নি উপমহাদেশীয় দলটার স্কোরবোর্ডে। অন্যদিকে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে কোনো ব্যাটসম্যানেরই অর্ধশত রানের ইনিংস নেই। তবুও টার্গেটে পৌছেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মূল কারণ পাকিস্তানের সংগ্রহটা তত বড় ছিল না। ওয়েস্ট ইডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ক্রিস গেইলের ৩৯। মারলন স্যামুয়েলস আর কাইরন পোলার্ডের সংগ্রহ ৩০ করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ইনিংসে বারবারই ম্যাচের মোড় ঘুরেছে। যখনই ক্যারিবিয়ানরা বড় জুটি গড়ার পথে ছিল ঠিক তখনই পাকিস্তানি বোলাররা সেই জুটি ভেঙে দিয়েছেন। যাহোক শেষ পর্যন্ত লো স্কোরিং ম্যাচে ২ উইকেটে জিতে গেছে ক্যারিবিয়ানরা। এই জয়ের ফলে ‘বি’ গ্রুপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ভারতের পয়েন্ট এখন সমান, ২ করে।
উল্লেখ্য, বল হাতে তিন উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৩০ রানের ইনিংসের জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন কেমার রোচ।