পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান পুনরায় আলোচনা শুরু করতে চায়। কিন্তু আরও কঠিন অবরোধ তাদের পশ্চিমা দাবি পূরণে বাধ্য করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ এই কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে, যারা দমননীতিই অনুসরণ করতে চায় তারাই আলোচনা শুরুর বিরোধিতা করছে।
এর আগে গত সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তেলের ব্যাপারে ইরানের সঙ্গে কোনও ইউরোপীয় কোম্পানির নতুন করে চুক্তি নিষিদ্ধ করেছে। তেহরানের দাবি অনুযায়ী তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ- এ ব্যাপারে ইইউ নিশ্চিত হতে পারছে না এই যুক্তিতে ইরানের তেলের ওপর এই অবরোধ।
উল্লেখ্য, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের আলোচনা হয়েছে সর্বশেষ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। এর পর থেকেই এ বিষয়টি স্থবির হয়ে গেছে।
ইরান গোপনে পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে- জাতিসংঘ পরমাণু শক্তি কমিশনের (ইউএইএ) এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশটির বিরুদ্ধে পশ্চিমারা নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপ শুরু করে।
এর ধারাবাহিকতায় ইরান পারস্যউপসাগরের সবচে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে প্রথমে পশ্চিমারা আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত দেয়। তবে ইরানের পক্ষ থেকে শীর্ষস্থানীয় কেউ (প্রেসিডেন্ট নিজেই) এই প্রথম আলোচনা শুরুর কথা বললেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের কারমানে আহমেদিনেজাদ বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এতে তিনি বলেন, ইরানকে চাপে রাখার জন্যই পশ্চিমারা আলোচনার পথ রুদ্ধ করতে চাচ্ছে। পশ্চিমাদের ইরানকে দরকার আর তাদের অবরোধে ইরান ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।