‘আদালতকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখলে বিচার ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব’

‘আদালতকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখলে বিচার ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব’

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে রাজনীতিকে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে রাস্তায় ফেলে আসতে হবে। এ অঙ্গনকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। তাহলে কেবল মাত্র বিচার ব্যবস্থার উন্নতি হতে পারে। আর এর জন্য দরকার আইনজীবীদের একটি নির্দলীয় ফ্ল্যাটফর্ম। না হলে বিচারের নামে অবিচার হবে।

শুক্রবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বারের উত্তর হলে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির বর্ধিত সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শাহ মো. খসরুজ্জামানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সমিতির নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমালুল হোসেন কিউসি, সহ-সভাপতি সাবেক বিচারপতি শিকদার মকবুল হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফিরোজ শাহ, শাহ মো. সিরাজ, আফজাল হোসেন, জামিলুর রশীদ খান, আজিজুর রহমান মানিক, ইব্রাহীম খলিল, শেখ আতিউর রহমান, আব্দুল মজিদ মল্লিক, ছগীর আনোয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, ‘আমি আইন বুঝি, রাজনীতি বুঝি না। দেশে অনেক সময় বিচারের নামে অবিচার হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে আইনজীবীদের নির্দলীয় একটা ভয়েস দরকার।’

বিচারপতি শিকদার মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বহুবার বলেছি- আপনারা সুপ্রিম কোর্টে ঢোকার আগে রাজনীতিকে রাস্তায় ফেলে আসবেন। রাজনীতি বাইরে না রাখলে রুল অব ল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।’

এবিএম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান বার সমিতিগুলো রাজনীতিতে লিপ্ত। এর জন্য একজন আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরও কত লাশ পড়বে এ ব্যাপারে কেউ জানে না। এসব থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে। যদি রাজনীতি করতে হয় এ অঙ্গনের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করতে অসুবিধা কী।’

সমিতির সভাপতি আহমেদ আলী বলেন, ‘আমরা আইনজীবীরা রাজনৈতিকভাবে লাঠিয়াল হতে চাই না। সমাজের উন্নয়নের জন্য নির্দলীয়ভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।’

সভা শেষে শাহ মো. খসরুজ্জামান আগামী ১৬ মার্চ সমিতির কাউন্সিল অধিবেশনের ঘোষণা দেন।

রাজনীতি