জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে গত মঙ্গলবার সিংহাসনে আরোহণের ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রায় ২ হাজার আমন্ত্রিত অতিথির সঙ্গে সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন রানী। ১৯৫৩ সালে সিংহাসনে অভিষেকের সময় যে বাজনা বাজানো হয়েছিল সেই একই বাজনার মধ্যে দিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ
। তাদের সঙ্গে প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা, প্রিন্স উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট মিডলটন, প্রিন্স হ্যারিসহ পরিবারের ২০ জনেরও বেশি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ১৯৫৩ সালে অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমনই অনেকই যোগ দেন মঙ্গলবারের অভিষেক অনুষ্ঠানে।
বাকিংহাম প্যালেস থেকে রানীকে বহনকারী গাড়ি ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাবেতে ঘণ্টাধ্বনি বেজে ওঠে। এ সময় ওয়েলশ গার্ড ব্যান্ড বাজিয়ে রানীর আগমন ঘোষণা করে। রানী গাড়ি থেকে নেমে গির্জার দিকে এগিয়ে যান। হীরাখচিত খাঁটি সোনায় মোড়ানো মুকুটটি এ সময় অ্যাবের বেদিতে রাখা হয়। সেখানে আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরি জাস্টিন ওয়েলবি রাণীর ৬০ বছরের শাসনকালের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মা-ও রাণীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে রাজকবি ক্যারল অ্যান ডাফির লেখা একটি কবিতা পাঠ করা হয়।
ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবের অনুষ্ঠানে ৮৪ বছর বয়সী রানীর পাশে ছিলেন তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস তার মা-বাবার পাশে আসন নেন। চার্লসের পাশে বসেন তার স্ত্রী ক্যামিলা। এর পরেই বসেন উইলিয়াম ও কেট, সবশেষে প্রিন্স হ্যারি।
রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর ২৭ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে যুক্তরাজ্যের রানী ও কমনওয়েলথের প্রধান হন তার মেয়ে দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কিন্তু জাতীয় শোক পালনের কারণে ১৯৫৩ সালের ২রা জুন তার মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে মুকুট পরানো হয়। সে সময় রানীর সিংহাসনে আরোহণের অভিষেক অনুষ্ঠান ৮,২০০ আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও টেলিভিশনে সারা বিশ্বের প্রায় ২৭ মিলিয়ন মানুষ প্রত্যক্ষ করেছিল।