খাদ্য বিভাগের সহকারী খাদ্য উপ-পরিদর্শক পদে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রেই নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্রি হওয়া দুটি সেটের মধ্যে শাপলা সেটের প্রশ্নপত্র দিয়েই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, আটককৃত দুই ছাত্রের কাছ থেকে পাওয়া প্রশ্নপত্রের দু’টি সেটের মধ্যে শাপলাটি হুবুহু কমন পরেছে বলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে জানিয়েছে। আটককৃত অপর সেটটি হলো গোলাপ।
কুড়িগ্রাম কেন্দ্রের নামপ্রকাশে অনিশ্চুক একাধিক পরীক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, শাপলা সেটের মাধ্যমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলানিউজে প্রকাশিত শাপলা সেটের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষায় আসা প্রশ্নপত্র একই।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত দুইটায় প্রশ্নপত্র বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন দুই ছাত্র।
আটক দুইজনের নাম তৌহিদুল ইসলাম ও ইসমত মেজবাহউদ্দিন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিক্রির বিষয়টি বাংলানিউজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
পরে আটককৃতরা প্রশ্নপত্রটি খাদ্য বিভাগের শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বলে দাবি করেন।
তারা জানান, গোলাপ ও শাপলা নামের প্রশ্নপত্রের সেট দু’টি তারা নীলক্ষেত থেকে সংগ্রহ করেন।
সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিম উদ্দিন হল থেকে আটক ওই দু’জন মোবাইল ফোনে অন্যদের সঙ্গে প্রশ্নপত্র নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় তা দেখতে পেয়ে ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলীকে খবর দেওয়া হয়। প্রক্টর ওই দু’জনকে হাতেনাতে ধরে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এই সময় শাহবাগ থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার দেব বাংলানিউজকে জানান, ঢাবি প্রক্টরের নির্দেশে দু’জনকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এখনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তাদের বিরু্দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সারা বাংলাদেশে ২৩ হাজার প্রার্থী এ পরাক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি।
বরং শুক্রবার সকালে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরুণ মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রক্টরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।