মিশরের সফল বিপ্লবের প্রথম বার্ষিকী উদযাপনে বুধবার তাহরির স্কয়ারে দলে দেল জড়ো হচ্ছে মিশরীয়রা। রক্তাক্ত গণঅভুত্থানের মধ্য দিয়ে টানা তিন দশকের একনায়ক হোসনি মোবারকের পতন ঘটে এই দিনে।
গত মঙ্গলবার থেকেই বহু লোক তাঁবু নিয়ে বিপ্লবের প্রাণকেন্দ্র তাহরির স্কয়ারে অবস্থান করছে। বুধবার সকাল থেকে আরো মানুষ এসে জড়ো হচ্ছে সেখানে।
আরব দেশ তিউনিসিয়ার বিপ্লবে অনুপ্রাণীত হয়েই গত বছরের জানুয়ারিতে মিশরীয়রা মোবারকের বিরদ্ধে রাজপথে নেমে আসে। হাজার হাজার মিশরীয় রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে রাতদিন অবস্থান করে মোবারককে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করে।
দীর্ঘ ২৮ দিনের রক্তাক্ত বিক্ষোভের মধ্যদিয়ে মোবারকের পতনের পর ১১ ফেব্রুয়ারি শিগগির নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিশরের ক্ষমতা নেয় সামরিক বাহিনী।
সেনা বাহিনীও বিপ্লব বার্ষিকী উদযাপন করতে ভূমধ্যসাগরীয় শহর আলেকজান্দ্রিয়াতে নৌ মহড়া, কায়রোতে বিমান বাহিনীর মহড়া এবং সারাদেশে আতশবাজির আয়োজন করেছে।
সরকার এ উপলক্ষে বিশেষ স্মারক মুদ্রা ছেড়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্মানিত করা হবে বলেও জানা গেছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল ঘোষণা দিয়েছে, এই বিপ্লব বার্ষিকীর দিনে বহুদিনের জরুরি আইন তুলে নেওয়া হবে।
১৯৬৭ সাল থেকে মিশর জরুরি আইনের অধীনে শাসিস হয়ে আসছে।
২৫ জানুয়ারির সেই বৈষম্যহীনতার স্পিরিটকে বহন করার আহ্বান জানিয়েছে সামরিক সরকার। এই দিনে মিশরের নারী-পুরুষ, যুবক-বুদ্ধ. মুসলিম-খ্রিস্টান ঐক্যের মাধ্যমেই বিপ্লব সম্ভব হয়েছিল।
তবে সেদিনের বিপ্লবীরা এখন এসে অভিযোগ করছেন, মোবারকের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হোসেইন তানতাবি বিপ্লব ছিনতাই করেছেন। তিনি এখন সামরিক কাউন্সিলের প্রধান।
ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার কথা বললেও নানা অজুহাতে তা দীর্ঘায়িত করায় জনগণ ক্ষুব্ধ।
সম্প্রতি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ নির্বাচনে ইসলামপন্থী দলগুলো নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে। গত সোমবার নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে বসেছে।
নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়া দ্য ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা। মোবারকরে সময়। দলটি নিষিদ্ধ ছিল।