ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘেরাটোপে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ভারতের ৬৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন হচ্ছে। রাজধানী দিল্লিতে দিবসের প্রধান আকর্ষণ মনোজ্ঞ সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে দিবস উদযাপন শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজধানীর ইন্ডিয়া গেটে দেশের সকল শহীদ স্মরনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল কঠোর নিরাপত্তায় দিবসের মূলঅনুষ্ঠানস্থল রাজপথে সামরিক কুচকাওয়াজে সালাম নেন।
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে এ বছর ভারতের বিশেষ অতিথি থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইয়ানলাক সিনাওয়াত্রা। এছাড়া ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
এদিকে দিবসটি সামনে রেখে সম্ভাব্য যে কোন সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজধানী দিল্লিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির রাস্তায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর প্রায় ২৫ হাজার সদস্য পাহারা দিচ্ছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুউচ্চ ভবনগুলোতে দুরপাল্লার রাইফেলধারী স্নাইপার বসানো হয়েছে।
রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য অংশেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বলে খ্যাত মুম্বাইয়েও প্রায় ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মুম্বাইয়ে বেশ কয়েকটি মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে ভারতের বিচ্ছিন্নতাপ্রবণ অংশ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালনের ডাক দিয়েছে সেখানকার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো।
কাশ্মীরে দিবসটি পালনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী শ্রীনগরে অনুষ্ঠানের মুলস্থল বকশী স্টেডিয়ামকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাপ্রবণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অঞ্চলে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপের হামলার হুমকি মোকাবেলায় রাজ্যগুলোতে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।